খুব সাধারণ একটি জীবনের গল্প
রহিমা আক্তার, স্টাফ রিপোর্টার
খুব বেশি চাওয়া ছিল না জীবনে। না কোন বিলাসিতা, না কোন বিশালতা। না কোন অট্রালিকা, সাদাসিধে জীবন নিয়ে ভালো ছিলাম।
চাওয়া ছিল শুধু ভালোবাসার চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে নিবো। ভেবেছিলাম ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে, বিনিময়ে ভালোবাসা নিবো।
কিন্তু না, এখান থেকে বুঝতে পারলাম দ্রব্যসামগ্রী বিক্রির সাথে সাথে ভালোবাসা ও চড়া দামে বিক্রি হয়। বিপুল অর্থের বিনিময়ে। কখনো আবার খুব বেশি যোগ্যতার বিনিময়ে ও।
তোমাদের বিপুল অর্থ আর বিশাল যোগ্যতার কাছে হার মানা এক তুচ্ছ মানব আমি। যে নাকি তোমাদের পাশে বড্ড বেশি বেমানান।
ভেবেছিলাম আত্মসম্মান, ব্যক্তিত্ব, নীতি, সততা নিয়ে বেচে থাকবো। যতদিন বাঁচি। এই অবদি এসে বুঝতে পারলাম এই অর্থের যুগে আর বিলাসিতার পাশে আমি কিছুই না।
আর এই জন্যই একসময়ে আমার খুব কাছের মানুষগুলো ও হারিয়ে গেছে দুরে বহদুরে। আমিও বুঝতে পারলাম কি করে মানুষের খুব কাছে থাকা সত্বেও নিজেকে হাজার মাইল দূরে রাখা যায়।
নিজের যোগ্যতা না থাকলে কি করে বেচে থেকেও মরে যাওয়া যায়, বা হাজার মাইল দুরে যাওয়া যায়। এইতো কদিন আগেও যারা খুব কাছে হৃদয়ে বসবাস করতো আজ তারা আমার কাছ থেকে হাজারো মাইল দুরে। হুম একেই বলে পরিস্থিতি আর বাস্তবতা।
কষ্টের দিন কেটেই যায়, থেমে থাকেনা। কিন্তু কষ্টের দিনে পাশের মানুষ গুলোর ব্যাবহারগুলো চিরদিন উজ্জীবিত হয়েই থাকে ছোট্ট হৃদয়ের কুটিরে। কখনো তা মলিন হয় না, কিংবা চিরতরে বিলীন ও হয় না।