আজ সন্ধ্যায় খুলনা আর্ট একাডেমির শিশু শিল্পীদের ক্লাস ৬টার সময় শেষ হয়।তখনি খুলনা আর্ট একাডেমির আঙিনায় প্রবেশ করেন নওগাঁ থেকে বাংলা প্রতিদিন ও প্রথম সংবাদ এর নাজমুল হক,
দৈনিক চিত্র এর মেহেদী হাসান (অন্তর) এবং শিল্প ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শহিদুল ইসলাম (লিটন)।অতিথিদের খুলনা আর্ট একাডেমির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন– অতিথিদের দেবার মত কিছুই নেই। অতিথিরা সংরক্ষিত ঐতিহ্য দেখার আগ্রহ পোষণ করেন তখন শিল্পী ঘুরে ঘুরে ঐতিহ্য দেখান ও তার সংরক্ষণ এবং শিল্পচর্চার অনুভূতি জানায়। অন্ধকারকে আলো দেখায় সাংবাদিক ভাইয়েরা। যে মানুষগুলো আশার আলো দেখার স্বপ্ন ছেড়ে দেয়
তাদেরকে আলো দেখায় সাংবাদিক ভাইয়েরা।
প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে শিল্প-সাধনায় নিয়োজিত থেকে অনেক কিছুই অর্জন করেছি। আজকের ঘটে যাওয়া ঘটনা আগামী দিনে ইতিহাস হয়ে থাকে। আমরা শৈশবে একটি সংসারের দৈনন্দিন ব্যবহৃত অনেক বিষয়াবলি দেখেছি আজ সেগুলো ঐতিহ্য হয়েছে। আমাদের সন্তানরা এগুলোর সঠিক নাম ও বলতে পারে না। আমি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস একজন শিল্প অনুরাগী ব্যক্তি অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই পথে এসেছি কিন্তু এই পথে যারা আছেন তারাই জানেন কতটা সাধনার দরকার। ডিজিটালের সংস্পর্শ নিতে গিয়ে বাঙালি ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তর পথে।আমি অনেক আশা করে এই স্বপ্ন লালন পালন করে আসছি।
নিজের পকেটে হয়তো টাকা থাকে না কারণ শিল্পীরা অনেক অভাবের হয়ে থাকে। যে অর্থ অনেক কষ্টের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয় সে অর্থ দিয়ে কিনে আনি লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া বিষয়।কিন্তু এর সংরক্ষণের জন্য উপযোগী স্থান আমি তৈরি করতে পারিনি। আর এর পিছনে কারও সহযোগিতাও পাওয়া যায় না প্রশংসা তো দূরের কথা। তাই স্বপ্ন দেখা ভঙ্গ হয়ে যায় কিন্তু ২০২৩ সালে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন দুইজন সাংবাদিক আহমেদ হোসাইন ছানু প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি।প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলো মিডিয়া গ্রুপ ও মাসুম ভূইয়া
সহসভাপতি বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি্
নির্বাহী সম্পাদক আজকালের আলো। তারা এসে ঐতিহ্য সংরক্ষণ দেখে যে প্রশংসা করেছেন তারা পত্রিকায় সেই বিষয়ে তুলে ধরেছেন।আজ তারই একটি সুফল নওগাঁ থেকে ছুটে আসলেন দুই সাংবাদিক বন্ধু এবং তাদের একজন শিল্পমনা সমাজপ্রেমী ব্যক্তি।
অতিথিদের প্রতিষ্ঠান ঘুরিয়ে দেখালেন এবং হারিয়ে যাওয়া সংরক্ষিত লোকোসংস্কৃতি বিষয়গুলি ঢেঁকি,পোলো কাঠের দেখলা, হারিকেন,মাথাল,বইঠা,পিতলের বাঁশি,পিতলের হুক্কা, নারিকেলের হুক্কা, দোতারা, একতারা,খঞ্জরী, রেডিও,বিনবাঁশী, বাবুই পাখির বাসা, এবং কাঠের ও মাটির বিভিন্ন রকম শিল্পকর্ম অতিথিদের মাঝে প্রদর্শন করেন। অতিথিরা দেখে সবাই খুবই আনন্দিত হয়।
তখন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস খুলনা আর্ট একাডেমির
কার্যক্রম দেখার জন্য প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেল এর নাম বলেন আমরা এই চ্যানেলে আমাদের সকল কার্যক্রম প্রকাশ করে থাকি Khulna Art Academy. এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সহকারি পরিচালক শিলা বিশ্বাস, ছেলে সৌহার্দ্য বিশ্বাস এবং মেয়ে সম্প্রীতি বিশ্বাস। সবার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।অতিথিরা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তার মনের কথা প্রকাশ করেন।শিশুদের ভালোবাসি তাদের সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করার স্বপ্ন দেখি। আমার নিজের প্রচেষ্টায় যতদূর সম্ভব তেমন করে পরিবেশ তৈরি করেছি। আমি ২০০৩ থেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি।প্রথমে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল নিশাত আর্ট কোচিং।খুলনার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় হৃদয়ে। তাই নিশাত আর্ট কোচিং এর নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালে নতুন নাম করন করা হয় খুলনা আর্ট একাডেমি। ২০১০ সাল থেকে চারুকলা ভর্তি কোচিং পরিচালনা শুরু করি। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত এর সকল চারুকলায় আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছেন ২১৮জন। বর্তমানে ১৪তম ব্যাচ পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে জাতীয় পুরস্কার সহ একাধিক শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরি করছেন। আমরা গর্বিত আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে।আমি খুলনায় থাকি তাই খুলনার সকল সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার সকল অনুষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরেন। কোনভাবে আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া আমাদের সকল অনুষ্ঠানগুলো প্রকাশ করে দেন। তাই বলবো সাংবাদিক ভাইয়েরা মহান পেশায় নিয়োজিত থাকেন। এমন করে আমাদের কার্যক্রম গণমাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।আমরা সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা নিয়ে খুলনা আর্ট একাডেমি আরও সুনামের সহিত পরিচালনা করতে চাই।সর্বশেষ অতিথিদের হালকা আপ্যায়ন করান এবং শিল্প সংস্কৃতি বিষয় আলোচনা শেষ করে অতিথিদের সকলকে ধন্যবাদ জানান চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।