চকআনারডুমুর কালীমাতা মন্দিরে আনন্দ পরিবেশে পূজা উদযাপন।
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ০৮নং ইউনিয়ন পরিষদের ০৩ নং ওয়ার্ড চক আনারডুমুর শ্রী শ্রী কালী মাতা মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা পালন করেন। এই পূজাতে দেবী দুর্গাকে মা হিসেবে বরণ করে নেন চক আনারডুমুরের হিন্দু ধর্মালম্বীরা। ১ম বারের মত চলছে পাঙ্গাঁসী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড চক আনার ডুমুর পূজা, ভক্তদের ভিড়ও বেশি এখানে
অন্য সব প্রত্যন্ত গ্রামের মতোই নিভৃত, নির্জন, কোলাহলহীন চক আনার ডুমুর শ্রী শ্রী কালীমাতা মন্দিরে। বছরের একটা সময় শান্ত গ্রামটি এখন চঞ্চল হয়ে ওঠেছে। হাজারো পাখি যেন ডানা খুলে উড়তে থাকে গ্রামের পথে-প্রান্তরে, বাড়িতে-বাড়িতে। সারা বছরের প্রতীক্ষা শেষে ঢাক বাজে, ঢোলক বাজে, মন্দিরে বাজে ঘণ্টা । দেবী দুর্গার দর্শন পেতে ঢল নামে ভক্তদের। এই শারদীয় সময়টির মিঠে-কড়া রোদ, রাতের কুয়াশা ভেজা বাতাসে তখন একটাই সুর ‘দুর্গা এল, দুর্গা এল’।
আজ শুক্রবার সকালে
রায়গন্জ উপজেলার ০৮ নং পাঙ্গাঁসী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চক আনার ডুমুর গ্রামের দুর্গাপূজা দেশের অন্য সবখানের চেয়ে আলাদা । কারণ, এখানকার দেবীর রং হয় লাল। চক আনার ডুমুর পূজায় দেবী দূর্গা ‘জাগ্রত’, তাই এখানে ভক্তদের ভিড়ও বেশি । পূজার সময় এখানে হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী তাঁদের নানান রকমের মানত নিয়ে ছুটে আসেন মন্দিরে । কেউ হোমযজ্ঞ দেন, কেউ প্রদীপ ও আগরবাতি জ্বালান। কেউবা পশু বলি দেন। পূজার সপ্তমী ও নবমীতে ,অগণিত হাঁস ও কবুতর বলি দেওয়া হয়ে থাকে ।
বর্তমানে এই আয়োজনের পরিচালকের দায়িত্বে আছেন শ্রী হারান চন্দ্র দাস । তিনি পূজা পরিচালনাকারীদের মধ্যে একজন ।