সুদীপ্ত মিস্ত্রী, ডুমুরিয়া প্রতিনিধিঃ
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম (৪২) দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (০৬ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামক স্থানে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকালে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় অংশগ্রহণ করে ব্যক্তিগত কিছু কাজ সেরে, রাত ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা সদর থেকে মোটরসাইকেলযোগে খুলনার বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি । পথে গুটুদিয়া ওয়াপদার মাথা নামক স্থানের ব্রিজের পূর্বপাশে পৌঁছালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করলে তিনটি গুলি তার পিঠে লাগে এবং তিনি ঘটনাস্থলেই ঠলে পড়ে যান। গুলির বিকট শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন পৌঁছানোর আগেই দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেলে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিভূতি বিশ্বাস জানান,গতকাল শনিবার বিকালে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় অংশগ্রহণ করে ব্যক্তিগত কিছু কাজ সেরে। রাত ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা সদর থেকে মোটরসাইকেলযোগে খুলনার বাসায় যাচ্ছিলেন প্রতিমধ্য গুটুদিয়ায় পৌছালে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে সন্ত্রাসীরা। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে । সেখানেকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ জানান, জনপ্রিয় চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার দেহের বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলি পেয়েছে এই হত্যা কান্ডের দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন। ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন তিনি সংবাদ পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং সেখান থেকে আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করি। এ ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে সে বিষয়ে পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করছে তাদেরকে দ্রুত আউনের আয়তায় আনা হবে। শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০১৫ সালে একবার তিনি সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, তিনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন,স্থানীয় ব্যক্তিরা ধারণা করছে তার জনপ্রিয়তার কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে।