রাতের আঁধারে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার গণমাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আশ প্রতীকের প্রার্থী রুবিনা আখতার রুবি। এ পর্যন্ত দুইবার সব জায়গায় পোস্টার ঝুলানো হয়েছে কিন্তু একদিন পরে সব উধাও হয়ে যায়।
তিনি গতকাল ও আজ নন্দী পাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক গণসংযোগ কালে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়ে তিনি নিরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন লক্ষ লক্ষ পোস্টার টাঙ্গিয়ে অফিস ও মাইকিং করে মানুষের মন জয় করা যাবে না।
এখনো নন্দীপাড়া সহ প্রত্যান্ত অঞ্চলে উন্নয়নের যথাযথ ছোঁয়া লাগেনি। মশার প্রকোপ, গ্যাস সংকট যানজট এবং জলাবদ্ধতা সহ নাগরিক দুর্ভোগ এখনো চরমে। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র হয়েও গণসংযোগ কালে দেখা গেছে নন্দীপাড়ার অবকাটামো ও নাগরিক সুবিধা মফস্বলের গ্রাম এর চেয়েও নিন্মমানের।
সাধারন ভোটার, শ্রমিক, নিরহ জনগণ পোস্টার, ক্যাম্প ও প্রচার দেখে নয় হ্যভী ওয়েট দেখে নয় তৃণমুলের নেত্রীকে ভোট দেওয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি গ্রহন করছেন।
গতকাল ও আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সারাদিন ব্যাপক গণসংযোগ কালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের মহাসচিব প্রতি আলহাজ্ব মোঃ আকবর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল হক, শিল্পী আকতার, মাসুম, আরিক খান, রত্না আখতার, ইশরাত জাহান নূরী প্রমূখ।
গণসংযোগকালে নতুন প্রজন্মের ভোটার ও নারীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখে উচ্ছ্বাসিত হয়ে তিনি বলেন আমি তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন মানবাধিকার কর্মী,, আমি সাধারণ জনগণের পাশে থেকে আজীবন মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন সাধারণ জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকে ভোটারদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা না হয়, তাহলে নারী ভোটার, নতুন প্রজন্মের ভোটারসহ ৭০ ভাগ ভোটারের অধিকাংশই সোনালী আঁশ প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। তিনি সম্মানিত সকল ভোটারকে ৭ জানুয়ারী ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট উৎসব পালন করবার অনুরোধ করেন।