রহিমা আক্তার, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
যার অবস্থা যেমনই হোক না কেন বেশির ভাগ মানুষ গরম ভাতই পছন্দ করে থাকেন। বলতে গেলে সবাই।
পানতা আর বাসি ভাত কেউই সখ করে বা পছন্দ করে খাই না, খেতে চায় ও না। যদি ও কেউ খায় সেই হলো ঘরের কোন না কোন মহিলা তাও আবার নষ্ট হবে ফেলে দিতে হবে বলে। আর কোন পুরুষেরতো এমন খাবার কখনো প্রশ্নই আসে না। কোন কোন নারী এই সহজ ব্যাপারট বুঝতেই চায় না।
তিতলী এক গ্রামের মেয়ে গরীব ঘরের সুন্দরী। এক অটো ওয়ালা মেঘ তার নাম ওর সাথে বিয়ে হয়েছে। এরই মধ্যে এদের একটা ছেলেও হয়েছে। খেয়ে না খেয়ে দুজনের সংসার ভালোই ছিল। ভালোবাসায় বসবাস। এরই মধ্যে আকাশ তিতলীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ওদের ভালোবাসায় বাম হাত ঢুকালো।
প্রতিনিয়ত ফোনে কথা, মাঝে মধ্যে দুজনের দেখা করা, কিছু ভাব বিনিময়। আকাশ ছিল মেঘের খুব প্রিয় বন্ধু।
তো আকাশ এক সময় বাধ্য করলো তিতলীকে ঘর থেকে বাহির করতে। আকাশ বলেই দিলো তিতলীকে ছেলে সমেত আকাশ তিতলীর দায়িত্ব নেবে। সহজ সরল তিতলী আকাশকে বিশ্বাস করে ঘর ছাড়লো। এক সময়। আর হ্যা আকাশ কিন্তু ছিল অবিবাহিত। তাই তিতলী আকাশকে বিশ্বাস করে নতুন জীবনে পর্দাপণ করালো। আর আকাশ তিতলীকে নিয়ে মাত্র চার মাস সংসার করে ওকে রেখে পালিয়ে গেলো।
জানি না বেচারী তিতলী এখনো বুঝতে পারলো কি না। যে পুরুষ মানুষ পানতা আর বাসি ভাতে সন্তুষ্ট না।
আল্লাহ হেফাজত করুন সকল তিতলীকে।