স্মৃতির দরজাটি মলিন হতে হতে
হারিয়েছে তার জৌলুস,
জং ধরেছে তার কলকব্জায়,
ঘৃণার তালা দিয়ে তাকে বন্ধ করেছি অনেক দিন আগে।
খুব প্রয়োজনেও হাতড়ে ফিরিনি
তার মেঝেতে ধূলোর মতো পরে থাকা অতিত সময়কে।
আমি কষ্টকে পুড়িয়ে দিয়েছি কষ্টের আগুনে
চোখ বন্ধ করে মাড়িয়ে এসেছি সময়ের শরীর,
চোখ খুলতেই দেখেছি
তুমি দাঁড়িয়ে আছো আমার সম্মুখে, আমি নতুন করে
উজ্জল হয়ে উঠেছিলাম তোমার ভালোবাসার আলোয়।
আমার দৃষ্টি’র সীমানা বন্ধক দিয়েছিলাম
তোমার চোখের কাছে,
ভালো লাগা গুলো নিশ্চিন্তে তুলে দিয়েছিলাম তোমার হাতে,
ছন্নছাড়া জীবন কে মৃত্যুদন্ড দিয়ে
তোমার বুকের ঘরে আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চেয়েছিলাম।
প্রিয় জোছনার শরীর চুঁইয়ে পরা
শিশিরের জলে আমি ভাসিয়ে দিয়েছিলাম আমার ভালো লাগা,
তুমি তাকে ভালোবাসো বলে।
পৃথিবীর বুক থেকে আমার সময়গুলোকে গুটিয়ে এনে
তোমাকেই আমার পৃথিবী করে নিয়েছিলাম এই বিশ্বাসে,
তুমি শুধু আমার, শুধুই আমার হবে।
অবিশ্বাস আর সন্দেহের হাতুড়ি’র আঘাতে
আমি আজ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছি,
মন নামের যে অদৃশ্য বস্তুটি আছে, তার পুরটাই টনটনিয়ে ওঠে,
ঘুমহীন চোখের প্রান্তর ছুঁয়ে দেয় নোনা জলের স্রোত।
সেই স্রোতে ভাসতে ভাসতে,
আমি অনিচ্ছায় ফিরে যাচ্ছি স্মৃতির কারাগারে,
তার স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালে কেবল মৃত ভালোবাসার কঙ্কালের ছায়া,
আমি তাকেই আলিঙ্গন করি।