নওগাঁর মান্দা কশব ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিয়ের দাবিতে ধামইরহাটের মেয়ের অনশন
মোঃ মহসিন রেজা, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
-
আপডেট সময় :
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
-
১১২
বার পঠিত
নওগাঁর মান্দা কশব ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিয়ের দাবিতে ধামইরহাটের মেয়ের অনশন।
মোঃ মহসিন রেজা, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দা উপজেলার ১৩ নং কশব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের কাছে বিয়ের দাবিতে অনশনে আছেন চেয়ারম্যানের সাবেক স্ত্রী ধামইরহাটের মেয়ে আমেনা বেগম নামের এক ব্যক্তি।
বুধবার দুপুর এক টা থেকে দির্ঘ ৫ ঘন্টা নিজ ভ্যানেটি ব্যাগে বিষ নিয়ে আত্যহত্যার হুমকির তথ্য ছরাচ্ছেন স্থানীয়দের মাঝে,দির্ঘ ৫ ঘন্টা ধরে সন্ধ্যা পেরিয়ে খাবার না খেয়ে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে কঠোর অনশনে আছেন তিনি।
অনশনের দাবি নিয়ে থাকা আমেনা বলেন, চার বছর একসাথে ঘর সংসার করেছি এতে তার অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনের স্বীকারও হতে হয়েছে তার আমার উপর অত্যাচারে ঘর ছাড়া হবার পর নারী শিশু আদালতে মামলা করি পরবর্তীতে আমার সাবেক স্বামী ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে হচ্ছে বলে আমাকে অনুরোধ করে ঘরে তুলে নিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দেবার প্রতিশ্রুতি দিলে আমি রাজি হয়ে তার কথা মতো সরল মনে মামলা প্রত্যাহার করতে সহযোগিতা করি।মামলা থেকে জামিন নেওয়ার পড়ে থেকে সে আর আমাকে আর পাত্তা দিচ্ছেনা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর থেকে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন তাই আমার একটাই দাবি উনি আমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া পর্যন্ত আমার অনশণ চলবেই অন্যথায় বিষ পান করে আত্যহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হব। প্রধান মন্ত্রীর নিকট আমার আকুল আবেদন চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের স্ত্রী হিসেবে আমাকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে,ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন,আমেনার সাথে পূর্বে স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক ছিলো তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এখন সে যেটা করছে সেটা সাজানো নাটক আমাকে হেনস্তা করার জন্য এটা তার নতুন কোন উদেশ্য, আমার কাছে আসার জন্য সে ক্রমাগত কৌশল করে যাচ্ছে। নতুন করে তাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়ার কোন সুযোগ নাই।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মোজাম্মেল বলেন,বিষয়টা শুনে সাথে সাথে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো দু’পক্ষের সাথে কথা বলেছে বিষয়টা স্থানীয় ভাবে আপোষ করার কথা বলা হয়েছে এছাড়া মেয়ের কোন অভিযোগ থাকলে তাকে অভিযোগ দিতে বলেছি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু মুঠোফোনে বলেন,এ ঘটনা আমি শুনেছি এবিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই এটা উনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
Please Share This Post in Your Social Media
এই জাতীয় আরও খবর