নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নবীগঞ্জের ১২ নং রেসপনডেন্ট বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন সেলিম এর বিরুদ্ধে আজীবন দাতা সদস্য দিদার আহমদ গত ১২ মার্চ ২০২৪ ইং নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দুটি অভিযোগের দরখাস্ত সংযুক্ত করিয়া, মহামান্য হাইকোর্টে জাস্টিস নাইমা হায়দার এবং জাস্টিস কাজী জিন্নাত হক স্যারের আদালতে হাজির হয়ে একটি রিড পিটিশন দায়ের করেন । রিড পিটিশনে মহামান্য হাইকোর্ট আদেশ করেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে নির্দেশ দেন, দুই মাসের মধ্যে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অথচ আজ চার মাস অতিবাহিত হলেও নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত রিড পিটিশন কপি রিসিভ করার পরও মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অবমাননা করে এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । অভিযোগ এর আলোকে জানা যায় বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একই পরিবারের আপন দুই ভাই বোন চাকুরীরত রয়েছেন গত ১৫ নভেম্বর ২১ ইং মাহিন্দ্র সরকার বড় ভাই পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে যোগদান করেন, এবং আপন ছোট বোন ০১ জুন ২২ ইং হেপী রাণী সরকার অফিস সহায়ক হিসাবে যোগদান করেন। ভিন্ন ইউনিয়নের একই পরিবারের দুই ভাই বোন চাকুরীরত রয়েছেন এ বিষয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দিদার আহমদ বলেন হেপী রাণী সরকার কে চাকরি না দিতে বলেন, কারন বাগাউড়া গ্রামের শিক্ষিত অসহায় মেয়েদের চাকরির অনেক আবেদন বিদ্যালয়ে জমা রয়েছে, কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দীন সেলিম ওনার কথা না শুনে ব্যাক্তিগত বিশেষ কারনে হেপী রাণী সরকার কে চাকরি দেন, এ বিষয়ে বাগাউড়া গ্রামের শিক্ষা অনুরাগী ফজলু মিয়া গত ২৬ মে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর, নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর ও বাগাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন । উক্ত বিদ্যালয়ের বর্তমান নতুন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দুলাল (মেম্বার) গত ২৩ মে রোজ বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এ সাংবাদিকদের সাক্ষাতে বলেন আগামী ০২ জুন রবিবার আমরা জেনারেল মিটিং এর আয়োজন করব, এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ জন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দীন সেলিম দীর্ঘদিন দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ অবৈধ ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকায় ওনার বহিষ্কার সহ নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জোরালো দাবি করেন।