নবীগঞ্জে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের আদম ব্যাপারী সুহেল রানার প্রতারণার ফাঁদে কসবা গ্রামের মহিবুল হাসান
আব্দুল কাইয়ুম, নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের মহিবুল হাসান (২৫) পিতা মৃত আব্দুল সহিদ মতন গত ২৩.০৮.২০২৩ ইং সোহেল রানা পিতা মৃত মোঃ আমির উদ্দিন মাতাঃ মোছাঃ সমুজা বিবি গ্রামঃ বানিউন ডাকঘরঃ ইনাতগঞ্জ উপজেলাঃ নবীগঞ্জ জেলাঃ হবিগঞ্জ এনআইডি নাম্বারঃ ৩৬১৭৭৫১৬২৬৭২৮ একশত (১০০) টাকার ষ্ট্যমে অঙ্গিকারনামায় তিন জন সাক্ষীর সম্মুখে জনাব মহিবুল হাসান পিতাঃ মৃত আব্দুল সাহিদ মতন মাতাঃ আহমদা বিবি গ্রামঃ কসবা ডাকঘরঃ লিপাইগঞ্জ উপজেলাঃ নবীগঞ্জ জেলাঃ হবিগঞ্জ। আমার মাধ্যমে কসভোর ভিসা সংগ্রহ করিয়াছেন এবং ভিসা ভাবতে স্বাক্ষীগনের সামনে ৬,৮০০০/= (ছয়লাখ আশি হাজার)- টাকা গ্রহন করিয়াছেন। অঙ্গিকারনামায় লিখিত, যদি তাহার কসভোর পৌঁছাতে এবং পৌঁছার পর ভিসায় উল্লেখিত নির্দিষ্ট কাজ ও বেতন পেতে কোনরোপ সদস্যা বা অসুবিধার সম্মুখীন হন তাহা হইলে আমি তাহার সমূহ ক্ষতি সহ তাহার দেয়া সমূদয় টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবো । এ কথা অঙ্গিকারনামায় উল্লেখ থাকলেও বিষয়টি ভিন্ন দীর্ঘ ছয় পর প্লাইট এর মাধ্যমে কসোভো পাঠানোর কথা বলে গত ০১ এপ্রিল ২৪ইং তুর্কি পৌঁছে দেন মহিবুল হাসান কে আদম ব্যাপারী সুহেল রানা তুর্কি পৌঁছার পর সুহেল রানা মহিবুল হাসানের মামা ছালেনুর এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বলেন আপনার বাগনা মহিবুল হাসান তুর্কিতে দালালদের হতে আটক থাকে কসোভো পৌঁছে হলে আরও দুই লক্ষ টাকা লাগবে । পরে আদম ব্যাপারী সুহেল রানা ভিডিও কলে মাধ্যমে মহিবুল হাসান কে মামা ছালেনুর এর সাথে কথা বলান মহিবুল হাসান ভিডিও কলের মাধ্যমে মামা ছালেনুর কে বলেন আমাকে বাঁচাতে চাইলে অনার মধ্যমে দুই লক্ষ টাকা দেন পরের আদম ব্যাপারী সুহেল রানা কে তিন জন সাক্ষীর সম্মুখে ইনাতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী ছালেনুর আরও দুই লক্ষ টাকা দেন। সর্ব মোট ৮৮০০০/- আট লক্ষ আশি হাজার টাকা দেওয়া পরও মহিবুল হাসান কে কসোভো পৌঁছার কথা থাকলে ও থাকে এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে ফেরত আসতে হয় । এ বিষয়ে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার রাসেল আহমেদ কে জানালে তিনি বলেন এ বিষয়টি আমি দেখব কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আদম ব্যাপারী সুহেল রানা ইনাতগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন লোকের অগ্রিম টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে এলাকা ছেড়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সিলেট শহরের কোন এক জায়গায় বাসা ভাড়া করে থাকেন । মহিবুল হাসান সাংবাদিকের সাক্ষাতকারে চুক্তি পত্র , পাসপোর্ট কপি, বয়েজ রেকর্ড ও তিন জন সাক্ষীর সম্মুখে তথ্য প্রধান করেন।