মোঃ মিঠু সরকার, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারায় বইতে শুরু করেছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী হাওয়া। এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বাগমারা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ডজনখানেক পার্থী তৎপরতা শুরু করেছেন। অধিকাংশ প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দলের হাইকমান্ডকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পার্থী হতে তিনজন নেতা মাঠে তৎপর হয়েছেন। এই পদে অন্যরাও রয়েছেন আলোচনায়
দলীয় প্রতীক না থাকায় অনেকে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে ডজনখানেক নেতা শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। ফলে নির্বাচনের মাঠে আলোচনায় নেই বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ কারণে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাগমারা উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী অনিল সরকার এবারও প্রার্থী হতে চান। তিনি ছাড়া ও সম্ভাব্য প্রার্থী হয়ে চষে বেড়াচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু।
এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন রাজশাহী বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন,বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কুমার প্রতীক দাস রানা, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান এবং সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার।
অপরদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাগমারা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আব্দুল জলিল, আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, বজলুর রহমান ও আতাউর রহমান।এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কোহিনুর বানু, যুব মহিলা লীগের সভাপতি প্রভাষক শাহিনুর খাতুন এবং বর্তমান মহিলা ভাই চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবি নির্বাচন করবেন বলে জানাগেছে।
তবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর বোঝা যাবে, শেষ পর্যন্ত কারা থাকবেন নির্বাচনের মাঠে। আগামী ১১ মেয়ে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বাগমারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা