কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যক্তির থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভিকটিম। অভিযোগ ভিত্তিতে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, বাদি মোছাঃ কহিনুর বেগম (৫৮)একই উপজেলার আরাজী পাইক ডাঙ্গা গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছি। প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমার স্বামী মোঃ মোখলেছুর রহমান এর সাথে জমি জমা নিয়ে দন্দ চলে আসছে।এই বিষয়ে এলাকায় অনেক শালিস বৈঠক হয়েছে, কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় শালিস বিচার মানে না।
ঘটনার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার পুকুরের বিবাদী ফজলুল হক ( ৬৫) পিতা মৃত সয়েব আলী , সাইফুর রহমান (৪৫) সামছুল আলম (৩৫) সাইদুর রহমান (৩০) সর্ব পিতা মৃত মোবারক হোসেন।ফরিদা বেগম (৩৫) স্বামী মোঃ সাইদুর রহমান, আন্জুয়ারা বেগম ( ৩০)স্বামী সামছুল হক সর্ব সাং আরাজী পাইক ডাঙ্গা গং মাছ ধরতেছে।
আমি ও আমার ছেলে বাঁধা দিতে গেলে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তার পর উপায় না পেয়ে আমার ছেলে ৯৯৯ কল দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ চলে আসে এবং আমাদের উদ্ধার করে। আমাদের করুন অবস্থা দেখে এলাকার মানুষ একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে আনেন। অবস্থার অবনতি দেখে তিনি আমাদের সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন এবং আমরা মেডিকেলে ভর্তি হই।
এলাকাবাসী জানায়, ফজলুল গং এলাকায় কাউকে মানেনা এবং ঐ ঘটনায় চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একটি শালিস করে দেন কিন্তু জোর করে ঐ দিন তারা পুকুরে মাছ ধরে এবং মারপিট করে।
উপরোক্ত বিষয়ে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মানিক উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
থানায় অভিযোগের বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মোঃ রুহুল আমিন এর নিকট জানতে চাইলে, তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।