Warning: Creating default object from empty value in /home/ifaz/narijagrato.com/wp-content/themes/Newsparfect/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
মান্দায় অবাধে চলছে জাল দিয়ে শতশত পাখি শিকার মান্দায় অবাধে চলছে জাল দিয়ে শতশত পাখি শিকার – নারী জাগ্রত
  1. admin@narijagrato.com : admin :
  2. emranhrony@outlook.com : News Editor : News Editor
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ
"দৈনিক নারী জাগ্রত" পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ narijagrata@gmail.com অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন – 01998–712363 – 01799–919901
শিরোনামঃ

মান্দায় অবাধে চলছে জাল দিয়ে শতশত পাখি শিকার

মহসিন রেজা, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩০ বার পঠিত

মহসিন রেজা, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি

নওগাঁর মান্দায় বিষ্ণপুর ইউনিয়নে অবাধে চলছে কারেন্ট জাল দিয়ে শতশত পাখি শিকার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও প্রতিদিন নির্মম হত্যাকাণ্ডের বলি হচ্ছে মানুষের খাদ্যশৃঙ্খল, পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী দেশি প্রজাতির নানান পাখি। এতে প্রশাসনের নেই কোন তদারকি।জানা যায়, উপজেলা বিষ্ণপুর ইউনিয়ন এলাকার মধু সাইদুর, মোঃ আকাশ, মোঃ আফজালসহ আরো অনেক নামের অসাধু ব্যক্তিরা এই পাখি শিকারের সঙ্গে জড়িত। ওই অসাধু ব্যক্তিদের এসব জালে ঘুঘু, শালিক, গো-শালিক, টিয়া, বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী পাখি আটকা পড়ছে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০টি বিশেষ করে ঘুঘু পাখি ধরে বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে রাখছে এবং পরে সময়মত পাখি গুলোকে গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে।সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিষ্ণপুর ঘাগড়া বিলাসহ বিভিন্ন বিলের মাঠে বড় বাঁশের সাথে আকাশের দিকে উচুঁ করে বিভিন্ন স্থানে জাল পেতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও কশব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিলের মাঠে এসব জাল দিয়ে পাখি শিকার করা হচ্ছ। এ সময় প্রতিবেদকদের দেখে ২ জন শিকারী দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর বাশেঁ সাথে লাগানো এসব কারেন্ট জাল গুলো খুলার সময় মুহূর্তেই চোখের সামনে ফাঁদে আটকা গেল একটি গো-শালিক পাখি। মুক্ত হওয়ার জন্য যতই ডানা জাপটাচ্ছে, ততই জড়িয়ে যাচ্ছে জালের ফাঁদে। পাখিটির কাছে আমরা দুই ছিলাম। এরপর পাখিটিকে মুক্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়।স্থানীয় এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, বর্তমানে সকল মাঠেই পাখি দেখা যাচ্ছে। এসব পাখি শিকারে এক শ্রেণির অসাধু লোকজন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাখি শিকারের ফলে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। এসব কাজে একমাত্র প্রশাসনকেই ভূমিকা নিতে হবে। আর জনগণকে সচেতন করতে হবে।এ বিষয়ে বিষ্ণপুর ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার সাদিয়া আক্তার টপি ওই সময় বাসায় না পাওয়ায় মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ীর পাশে যারা কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি শিকার করেছিল আপনারা আসার পর আমি তাদেরকে নিষেধ করেছি। বর্তমানে এখন এই এলাকায় পাখি শিকার বন্ধ রয়েছে।এ ব্যপারে বিষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আজম বলেন, জাল দিয়ে যে লোক গুলো পাখি শিকার করছে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে আমি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। তাদেরকে বলা হয়েছে পাখি শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এরপর থেকে কেউ যদি পাখি শিকার করে তাহলে ভ্রাম্যমান আদালত কে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, পাখি শিকার করা একটি অপরাধ। ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আমরা ওই এলাকায় পাখি শিকারের বিষয় জেনেছি। চেষ্টা চলছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য।

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর