মহসিন রেজা, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় চার নাম্বার মান্দা ইউনিয়নের কয়াপাড়া গ্রামের মৃত রহিম শেখের ছেলে নবাব শেখ দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে পিঠা বেচে সংসার চলে।
শীত এলে সড়কের পাশে পিঠা বিক্রির পসরা বসে। সন্ধ্যার পর গ্রাম-শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে ভাপা, পিঠা বিক্রি শুরু হয়। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।মান্দা ফেরি ঘাটে বাসস্ট্যান্ডে পাশে পিঠা বিক্রি করেন নবাব শেখ । একটি চুলায় ভাপা পিঠা তৈরি করছেন তিনি। পাশের বেঞ্চে বসে ক্রেতারা গরম গরম পিঠা খাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসা-বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত এখানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। বাসটান হওয়ায় ক্রেতা সমাগমও বেশি হয় এখানে। অফিস শেষে ফেরার পথে সড়কের কাছে ফুটপাতে চোখে পড়ে দোকানটি। এসব মুখরোচক পিঠায় দেওয়া হচ্ছে নারিকেল ও গুড়।পিঠা বিক্রেতা নবাব শেখ জানান,তার দুটো পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে, তিনি আরো বলেন, ভাপা পিঠা ১০ টাকা, তবে ভাপা পিঠার কদর বেশি। ক্রেতারা এ দামে সন্তুষ্ট। ছোট বড় সব বয়সী মানুষ আসেন এখানে পিঠা খেতে। ভাপা প্রতিদিন প্রায় ১৫০-১৬০ পিচ পিঠা তৈরি করেন তিনি। প্রতিদিন ১০০০-১৫০০ টাকা বিক্রি হয়।