সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জের ৭নং নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বকর সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে ৯ জন ইউপি সদস্য রবিবার (৩১’মার্চ) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অনাস্থা জ্ঞাপন করে অভিযোগ দাখিল করেন । আবেদন সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ ২বছর যাবত ইউপি সদস্যগণের সম্মানী ভাতা প্রদান করেন না। বিগত তিন অর্থবছররের স্থানীয় ইউপি ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়কর ও ট্রেড লাইসেন্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ এবং উপজেলা হইতে প্রাপ্ত ১% অর্থ এবং ইউনিয়ন উন্নয়ন তহবিল, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, এডিপি এর প্রকল্প সমূহ বিধি বহির্ভূতভাবে একক সিদ্ধান্তে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে নিজেই আংশিক বাস্তবায়ন অথবা বাস্তবায়ন না করেই প্রকল্প সমূহের অর্থ আত্মসাৎ করেন এবং ইউনিয়ন পরিষদ মেরামত বাবদ প্রাপ্ত অর্থ মেরামত না করে উক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেন । তাছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও মাতৃকালীন ভাতা কোন প্রকার রেজুলেশন না করে নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিগণের নাম সুপারিশ করে উপজেলায় প্রেরণ করেন । ঈদ উপলক্ষে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের তালিকা ইউপি সদস্যগণের নিকট হইতে গ্রহণ না করে মিটিং ছাড়াই পুরাতন উপকারভোগীদের নামের তালিকা উপজেলায় প্রেরণ করেন । ফলে বহুসংখ্যক হতদরিদ্র ব্যক্তিগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার হইতে বঞ্চিত হচ্ছেন । ইউপি সদস্যরা জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি ইউপি সদস্যগণের মতামতের তোয়াক্কা না করিয়া ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধামকির মাধ্যমে মিটিং না করিয়া রেজুলেশনে স্বাক্ষর প্রদানে বাধ্য করেন। এবং এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে পরিষদ ভবনে পর্যাপ্ত কক্ষ থাকা সত্ত্বেও ইউপি সদস্যগণের জন্য কোন প্রকার বসার ব্যবস্থা রাখেন নাই । এরকম বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য তারা অনাস্থা জ্ঞাপন করেন । চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ সম্ভব হয় না । রায়গঞ্জের ইউএনও মহাদয় জানান, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।