কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে নিখোঁজ হওয়া ব্যাংকার রাজিবুল ইসলাম রাজু (৪০) কে জীবিত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোররাতে ব্যাংকারের বড় ভাই রাহাতুল ইসলাম ঝন্টুর কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। সে ভেড়ামারার বামনপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলীর পুত্র। গত ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমারখালী থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।
জানা গেছে, রাজিবুল ইসলাম রাজু কুমারখালী পূবালী ব্যাংক’র সিনিয়র অফিসার ছিলেন। চাকুরীর পাশাপাশি ওখানেই ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। গত ২২শে ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ি ভেড়ামারায় আসার পথে তিনি নিখোঁজ হন। ওইদিন রাতেই কুমারখালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন।
তৎকালীন সময়ে রায়হানা পারভীন জানিয়েছিলেন, পারিবারিক কোলহের কারনে তিনি দুই সন্তান নিয়ে মাসখানেক ধরে তার বাবার বাড়ি খোকসাতে অবস্থান করছেন। রাজু কুমারখালীর শেরকান্দি এলাকায় ভাড়া বাসা থেকেই ব্যাংকে যাওয়া আসা করতেন। ২১ ডিসেম্বর রাতে রাজু’র সাথে ফোনে কথা হলে সে জানিয়েছিলো, পরদিন শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি ভেড়াামারায় যাবেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে তার সঙ্গে কথা বলে গ্রামের বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দেয় রাজু। এরপর থেকে আর যোগাযোগ হয় নি রাজু’র সাথে।
এ দিকে ব্যাংকার রাজীবুল ইসলাম রাজু কে জীবিত উদ্ধারের দাবীতে তার বড় রাহাদুল ইসলাম ঝন্টু’র নেতৃত্বে তার পরিবার স্বারকলিপি পেশ, মিছিল এবং মানববন্ধনের মতো কর্মসূচী পালন করে।
তাকে উদ্ধারের জন্য জোরালো ভূমিকা রাখেন প্রশাসনের কাছে। কুমারখালী পুলিশ সহ জেলা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে রাজুকে উদ্ধারের জন্য। আজ শনিবার ভোররাতে কুমারখালী থানা পুলিশ রাজীব কে জীবিত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
ব্যাংকার রাজু’র বড় ভাই রাহাতুল ইসলাম ঝন্টুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম ভাই কে ফিরে পাওয়ার জন্য। আজ ভোর ৪টার দিকে কুমারখালী থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পেরে কুমারখালী থানায় যায়। সেখানেই আমার ভাই কে জীবিত অবস্থায় দেখতে পায়। সে প্রচন্ড অসুস্থ থাকায় তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সে বর্তমানে ডাঃ সেলিমুর রহমানের তত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন আছেন। সুস্থ হলে নিখোঁজ সহ পুরো বিষয়টি জানা সম্ভব হবে।