Warning: Creating default object from empty value in /home/ifaz/narijagrato.com/wp-content/themes/Newsparfect/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে শান্তির বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে শান্তির বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি – নারী জাগ্রত
  1. admin@narijagrato.com : admin :
  2. emranhrony@outlook.com : News Editor : News Editor
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ
"দৈনিক নারী জাগ্রত" পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ narijagrata@gmail.com অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন – 01998–712363 – 01799–919901
শিরোনামঃ

জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে শান্তির বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি

মোঃ মিঠু সরকার, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৭ বার পঠিত

জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে শান্তির বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। 

মোঃ মিঠু সরকার, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চতুর্থ বারের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিন বারের সফল সংসদ সদস্য আধুনিক, শান্তিপূর্ণ ও আলোকিত বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। পরপর তিন বার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করলেও এবার তাকে নৌকা দেয়া হয়নি। নৌকা না পেলেও বাগমারার আপামর জনগণের ভালোবাসা আর সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবেন তিনি। এরই মধ্যে জনসমর্থন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগ মুহুর্তে বাগমারার হাজার হাজার জনগণ ছুটে আছে মিছিল নিয়ে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ যেন পরিণত হয় জনসমুদ্রে। প্রতীক নয় ব্যক্তিকে ভালোবেসে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের পাশে ছুটে আসেন তারা। হাজারো কর্মী-সমর্থক নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

১৬টি ইউনিয়ন আর ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাগমারা উপজেলা। এখানে প্রায় চার লক্ষাধিক লোকের বসবাস। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বাগমারায় রাজত্ব কায়েম করেছে সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী। সে সময় বাগমারা ছিল অন্ধকার জনপদ। মানুষ চাইলেও দিনের বেলাতেও রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে পারতো না। সেই সময়ের রক্তাক্ত ও সন্ত্রাসীর জনপদকে শান্তি আর উন্নয়নের বাসভ‚মি হিসেবে গড়ে তুলেছেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি।

ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক দীর্ঘ ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায়, নিরলস প্রচেষ্টা ও বাগমারাবাসীর সহযোগিতায় বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচী বাস্তাবায়ন করেছেন। সেই সাথে রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুতায়ণ, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ সহ সার্বিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড নিশ্চিত করেছেন। সকলের সম্মিলিত ও সার্বিক প্রচেষ্টায় বাগমারা আজ রক্তাক্ত অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা ও শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। বাগমারা উপজেলা এখন জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। সেই শান্তির বাগমারাকে রক্তাক্ত করতে আবারও একটি পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে। বাগমারার প্রতিটি জনগণ নিরাপদে থাকার পাশাপাশি উন্নয়ন চাইলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রক্ত না শান্তি সেটা নির্ধারণ করার নির্বাচন হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জনগণের সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন আপামর জনগণের আস্থার প্রতীক শান্তিময় বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি।

ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি অন্ধকার জনপদকে যেভাবে শান্তি আর উন্নয়নের জনপদে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি, আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন সহ স্বাধীনতার ইতিহাসকে ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট সঠিক ভাবে তুলে ধরা সহ জাতির জনকের অবদানকে স্মৃতিতে অ¤øান করে রাখতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভবানীগঞ্জে ছয়তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স নির্মাণ করেন। স্মৃতি কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস। কমপ্লেক্সটি ইতিমধ্যে দেশের বুদ্ধিজীবী মহল সহ সর্বস্তরের জনগণ কর্তৃক ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পদচারনায় মুখরিত হয়েছে।

শুধু তাই নয় প্রতিটি ক্ষেত্রে যে ভাবে সফলতা এসেছে শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ
বর্তমান সরকারের আমলে বাগমারায় শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিস্তারে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ভবানীগঞ্জ কলেজকে সরকারী করণ ও তাহেরপুর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং সালেহা ইমারত কলেজ, বাগমারা কলেজ ও নাসিরগঞ্জ কলেজকে ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীতকরণ, বালানগর ফাজিল মাদ্রাসাকে কামিল পর্যায়ে, তাহেরপুর মাদ্রাসাকে ফাজিল মাদ্রাসায় উন্নীতকরণ। তিন ধাপে মোট ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

উপজেলায় ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, ১০টি মাদ্রাসা ভবন, ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই সাথে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ ও মাদ্রাসার নির্মাণ করা ও সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া, ১০৬টি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে ‘ডিজিটালাইজেশন’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় উপজেলায় একটি দ্বিতল বিশিষ্ট আইসিটি ভবন (ডিজিটাল ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার) নির্মাণ করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত শিক্ষায় গতি আনতে ২২ টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব এবং ১টিতে স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষা প্রণোদনা কর্মসূচী যেমন বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র ও অবহেলিত শিশুদের বিদ্যালয়মূখী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাগমারার বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ ভাগ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৫% ছাত্র/ছাত্রী বিদ্যালয়গামী হয়েছে। উপজেলার শিক্ষার হার জেলার সর্Ÿোচ্চ ৭৯ ভাগ এ দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকমন্ডলী ও অভিভাবকদের যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষা খাতে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনঃ
বাগমারায় শিক্ষার সম্প্রসারণ ও জনকল্যাণে ২০০৬ সালে নিজ উদ্যোগে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠানটি দৃষ্টিহীনদের চিকিৎসা ছাড়াও মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান এবং সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে মানব সেবামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। সেই সাথে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফলের ভিত্তিতে সংবর্ধনা দিয়ে থাকে। যা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর