Warning: Creating default object from empty value in /home/ifaz/narijagrato.com/wp-content/themes/Newsparfect/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
প্রধান শিক্ষক রাজা মিয়া পাহাড় সমান দূর্নীতি করেও এখনো বহাল তবিয়তে জনমনে নানা প্রশ্ন প্রধান শিক্ষক রাজা মিয়া পাহাড় সমান দূর্নীতি করেও এখনো বহাল তবিয়তে জনমনে নানা প্রশ্ন – নারী জাগ্রত
  1. admin@narijagrato.com : admin :
  2. emranhrony@outlook.com : News Editor : News Editor
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ
"দৈনিক নারী জাগ্রত" পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ narijagrata@gmail.com অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন – 01998–712363 – 01799–919901
শিরোনামঃ

প্রধান শিক্ষক রাজা মিয়া পাহাড় সমান দূর্নীতি করেও এখনো বহাল তবিয়তে জনমনে নানা প্রশ্ন

আহমেদ হোসাইন ছানু, বিশেষ প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৪ বার পঠিত

প্রধান শিক্ষক রাজা মিয়া পাহাড় সমান দূর্নীতি করেও এখনো বহাল তবিয়তে জনমনে নানা প্রশ্ন

আহমেদ হোসাইন ছানু, বিশেষ প্রতিনিধি 

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার অন্তর্গত গোলখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজা মিয়ার নামে নানা রকম অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ ও মামলা হওয়া সত্যেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়াতে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়টি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুরু থেকেই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ছিলেন মোঃ রাজা মিয়া। তিনি বিদ্যালয় টির শুরু থেকেই নানান অনিয়মের মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন। সাম্প্রতি ২১/১১/২০২৩ ইং বিদ্যালয় টি নিয়ে এক অবিভাবক গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রাজা মিয়ার বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হলোঃ (১) তিনি রাতের আঁধারে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি তৈরী করে তার পছন্দ মত। কোনো নির্বাচন ও তফসিল ছাড়াই তিনি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন যা কোনো অবিভাবক পর্যন্ত জানেন না।
(২) তিনি তার পকেট ম্যানেজিং কমিটির দুই একজন নিয়ে বিদ্যালয়ে কিছু নিয়োগ বাণিজ্য করে। কম্পিউটার ল্যাব পদে মোঃ সাইফুলের কাছ থেকে ৭০০,০০০ টাকা এবং আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে ২০০,০০০ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। (৩) তিনি বিদ্যালয় থেকে ছুটি না নিয়েই প্রায়ই ভারত যায় যেন এটা দেখার মত কেউ নাই। অভিযোগ কারীগণ বলেন তিনি ভারতে চিকিৎসা সেবার নামে অনেক মানুষের দালালী করে। যার কারণে ছাত্র ছাত্রীর রেজাল্ট খারাপ করে।
(৪) তার করা পকেট ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী মোঃ শামসুল হক মৃধা প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত একই পদে বহাল আছে।
(৫) দীর্ঘ্য দিন যাবৎ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক পদে থেকে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরাইছে।
বিদ্যালয়ের একাদিক সহকারী শিক্ষকগণ বলেন যে অভিযোগ উঠে এসেছে তা অধিকাংশ সত্য এবং আমাদের ও কিছু অভিযোগ আছে যা এত দিন আমরা বলতে পারিনি। অভিযোগ হলো
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি
১. নিজে প্রতিষ্ঠানে সময় মতো না আসেন
২. ক্লাস তদারকি না করেন
৩. শিক্ষকদের লেশন প্লান না দেখেন ৪.ক্লাস বন্টনে ইনসাফ করতে না পারেন ৫.রাজনৈতিক বিবেচনায় ক্যাডার শিক্ষকদের ছাড় দেন ৬.প্রধান নৈতিক ভাবে দুর্বল হন ৭ স্থানীয় শিক্ষকদের খামখেয়ালি বরদাস্ত করেন
৮. জেন্ডার বৈষম্য জিইয়ে রাখেন ৯. নিজে কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য হন ১০. ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে চলতে না পারেন
১১. অফিস স্টাফদের সাথে তাচ্ছিল্য পুর্ন/ নোংরা আচরণ করেন ১২. নিরীহ শিক্ষকদের উপর বাড়তি ক্লাসের বোঝা ছাপিয়ে দেন ১৩. শিক্ষকদের কারনে অকারনে হয়রানি করেন
১৪. জরুরি ছুটি নিয়ে টালবাহানা করেন ১৫. মতের অমিল হলেই শোকজ করেন / ভয় দেখান ১৬. বিভিন্ন দোহাই দিয়ে শুধু বিল বানান
১৭. সহকর্মীদের অধিনস্ত চাকর মনে করেন ১৮. প্রতিষ্ঠানে সময় না দিয়ে অপ্রয়োজনে উপজেলা
/ সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ে আড্ডা দেন ১৯. উদ্ভাবনী শক্তি / সৃজনশীলতা না থাকে
২০. জ্ঞান নির্ভর নয় চাপা নির্ভর।
এসব প্রতিষ্ঠানে কখনোই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে না, ফলাফল বিপর্যয়, ছাত্র শুন্যতায় ক্রমেই মান অবনতি ঘটেতে থাকে।এর ভাইরাস অন্য প্রতিষ্ঠানেও আক্রান্ত করে।
আমাদের উপলব্ধি ও চেতনা শানিত হোক। প্রধান শিক্ষক মোঃ রাজা মিয়ার উপরোক্ত সকল জালিয়াতি গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল এর কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এসব বিষয় শিক্ষক প্রতিনিধিগণ প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের উপর চরাও হয়। শিক্ষক প্রতিনিধির সাথে যেন তার পূর্ব শত্রুরতা লেগে আছে।
এ বিষয় সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রাজা মিয়ার সাথে কথা বললে সাংবাদিকদের তিনি বলেন আমার বিদ্যালয়ে কোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়নি আমি এর সাথে জরিত না।অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী মোঃ শামসুল হক মৃধা বলেন দেখেন সকল কিছুতেই নিয়ম অনিয়ম থাকে তবে টাকা নেয়ার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না যদি হয়ে থাকে তাহলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।সহকারী প্রধান শিক্ষক জুলেখা আক্তার বলেন আমার বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি হয় তা আমি জানি না কমিটি হওয়ার পরে আমি জানতে পারি। তবে কম্পিউটার ল্যাব পদে যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সে পদটা আমার বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত তৈরী হয়নি। টাকা পয়সা কত কি নিছে বা নেয়নি তা আমি জানি না। গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার কাছে একটা সবিতা রাণী নামের একজন অবিভাবক অভিযোগ লিখিত আকারে দিয়েছে তদন্ত স্বরুপ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে জানতে রাজা মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি বার বার ফোন রিসিভ করেও কিছু বলতে পারবো না বলে ফোন রেখে দেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরও খবর