মোঃ রুহুল আমিন,জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক এবং স্কোয়াড কমান্ডার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে¡ ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ ০০১০ ঘটিকায় নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন দূর্গাপুর এলাকা থেকে গণধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ শান্ত (৩০), পিতা মোঃ শাসুল হক, সাং-দূর্গাপুর, থানা-বদলগাছী, জেলা-নওগাঁ কে গ্রেফতার করা হয়।
গত ০২ আগস্ট বিকাল ৪ ঘটিকায় ধর্ষক হাসনাইন হোসেন তমাল মারুফা আক্তারকে (১৩) দেখা করার কথা বলে হিলি থেকে পাঁচবিবি পার্কে দেখা করতে নিয়ে আসে। ভিকটিম দেখা করতে আসলে তমাল সন্ধ্যা সাত টায় বায়জিদ ও অজ্ঞাত কয়েকজন সহযোগে পাঁচবিবি থানাধীন নওদাপাড়া গ্রামে নির্জন এক বাড়িতে নিয়ে যায়।
নির্জন বাড়িতে মারুফা আক্তার কে নিয়ে এসে গভীর রাতে তমাল মারুফা আক্তার কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং একপর্যায়ে মারুফা আক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং সকালে মারুফা আক্তারএর জ্ঞান ফিরলে আসামীরা তাকে গাড়িতে উঠিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে মারুফা আক্তার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে ঘটনার বিস্তারিত জানালে মারুফা আক্তার পরিবার ০৬ আগষ্ট বিকাল ৪.৩০ টার সময় পাঁচবিবি থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে।
মামলা হওয়ার পর থেকেই র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী তমাল ও বায়জিদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আসামীদের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামী তমাল জানায়, প্রথমে সে জোরপূর্বক মারুফা আক্তারকে ধর্ষণ করে এবং মারুফা আক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়লে বায়জিদ এবং শান্ত নামে আরো ০২ জন মারুফা আক্তারকে পালাক্রমে ধর্ষন করে যা মারুফা আক্তার অজ্ঞান থাকায় বুঝতে পারেনি।
মারুফা আক্তার অজ্ঞান থাকায় প্রথম ধর্ষক তমালকে ১ নং আসামী করে মামলা হয়। যেহেতু আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আরো ০২ জন ধর্ষনের সাথে জড়িত তাই পরবর্তীতে মামলাটি গণধর্ষণের মামলায় রুপান্তরিত হলে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ ১০ ঘটিকায় তদন্তেপ্রাপ্ত ধর্ষক শান্তকে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।