কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া নান্টু (২৩) নামে একজন বাক প্রতিবন্ধীকে ১৩দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তাকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। সে দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের খারিজারথাক গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে।
১লা জানুয়ারি প্রতিবন্ধী নান্টু বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। বিজিবি সূত্র জানায়, বাক প্রতিবন্ধী নান্টু বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী চিলমারী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে। এসময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ তাকে আটক করে ক্যাম্পে নেয়।
পরে তাকে জলঙ্গী থানা পুলিশে সোপর্দ করতে গেলে প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখতে অস্বীকৃতি জানায় জলঙ্গী থানা পুলিশ। বিএসএফ স্থানীয়ভাবে মাইকিং করে তাদের হেফাজতে থাকা প্রতিবন্ধীর খবরটি প্রচার করে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও খবরটি প্রচার ও প্রকাশ হলে প্রতিবন্ধী নান্টুর পরিবার তা জানতে পেরে ভারতীয় আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে তা নিশ্চিত হয়ে ঘটনাটি স্থানীয় বিজিবিকে জানায়। বাংলাদেশী প্রতিবন্ধীকে ফেরত চেয়ে বিজিবি বিএসএফকে পত্র দিলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ১৩ জানুয়ারী ফেরত দেওয়া হয়।
১৫৭/২-এস সীমান্ত পিলার সংলগ্ন চিলমারীর মরারপাড়া সীমান্তে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ চিলমারী কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মুরাদ মুর্শেদ এবং বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর ডেপচাঞ্জ রাম।
পরে বিএসএফ’র হাতে আটক প্রতিবন্ধী নান্টুকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করা হলে বিজিবি তাকে পরিবারের নিকট সোপর্দ করে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেন চিলমারী কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মুরাদ মুর্শেদ।