মোঃ আব্দুল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার বেনাপোল
মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ভারতের সাত রাজ্য থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য থেকে মুসল্লিরা আসছেন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে।তবে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে গত কয়েক বছরের চেয়ে কম সংখ্যক বিদেশি মেহমান বাংলাদেশে আসছেন বলে জানা গেছে। গত কয়েক মৌসুমে এই চেকপোস্ট দিয়ে চার থেকে পাঁচ হাজার বিদেশি মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসতেন।কিন্তু চলতি বিশ্ব ইজতেমায় বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পর্যন্ত মাত্র এক হাজারের মতো ভারতীয় মুসল্লি এসেছেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার আরো কিছু বিদেশি মেহমান আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের থাকা খাওয়াসহ অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে। এতে খুশি মেহমানরা।আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ফজর বাদ আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে প্রথম পর্বের এ বিশ্ব ইজতেমা।ভারতীয় মুসল্লিরা বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে বাস কিংবা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে যাচ্ছেন। তবে ইমিগ্রেশনের ভেতরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের।বেনাপোল স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি মেহমানদের অভ্যর্থনা জানানো, থাকা-খাওয়া ও ঢাকায় পাঠানোসহ সব কাজ দ্রুত করার জন্য তাবলিগ জামায়াতের ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে একটি প্রতিনিধিদল বেনাপোল স্থলবন্দরে অবস্থান করছে। তারা প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত আগত মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের পরিদর্শক (তদন্ত) শফিক আহমেদ জানান, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসছেন। এবার খুবই কম সংখ্যক মুসিল্লা এসেছেন। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বিদেশি মেহমানদের দ্রুততার সাথে পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনে পৃথক ডেস্ক খোলা হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের পুলিশ ইমিগ্রেশন সদস্যরা সেবা দিচ্ছেন।বিদেশি মেহমানদের সেবা করতে পেরে তারাও খুশি জানালেন বলে ওসি।উল্লেখ্য, এরআগে এ পথে মরক্কো, ফ্রান্স, মোজাম্বিক, রাশিয়া, জর্দান, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, তিউনিশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউক্রেন, আমেরিকা, ফিলিস্তিনি, শ্রীলঙ্কা, মিসর, সিরিয়া, বেলজিয়াম, সেনেগাল, জাম্বিয়া, কাতার, মালে, লেবানন, ফিরগিস্তান, নেপাল, ইয়েমেন, কেনিয়া, সুইডিশ, ইথিওপিয়া, তুর্কি, মিয়ানমার, ক্যামেরুন ও আইভেরি কোস্টের মুসিল্লারা আসতেন। এবার এসব দেশ থেকে মুসল্লিদের আসতে দেখা যায়নি।