নড়াইলে মন্দিরে সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা
খালিদ সাইফুল্লাহ,নড়াইল
নড়াইল জেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের বেনাহাটি গ্রামে মন্দিরের সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরোজমিন সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে, স্থানীয়রা দাবী করেন বেনাহাটি গ্রামে উক্ত স্থানে দুইশো (আনুমানিক) বছরের পুরানো একটি বট গাছ আছে । উক্ত বটগাছটিকে দেবতা হিসাবে সনাতন ধর্মীয় অনুসারীরা পুজা করে থাকেন।সরজিত সরকার (৭৬) জানান, তার ঠাকুর দা নিম চান সরকার ১৯৭১ সালে ১৩০ বছর বয়সে মারা যান।নিমচান সরকার মারা যাওয়ার আগে বেনাহাটি হাজরাতলা মন্দিরের বট গাছে পুজা দিয়েছেন । বেনহিাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শ্রী শংকর গুপ্ত,তুলারামপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য শ্রী নির্মল গুপ্ত জানান ,তারা পারিবারিক এবং প্রতিবেশীদের পরম্পরায় শুনে এবং দেখে আসছেন বেনাহাটি হাজরাতলা মন্দিরে পুজা হয় ,চৈত্র সংক্রান্তিতে মেলা হয় । চৈত্র সংক্রান্তির মেলা আবহমান কাল থেকে চলে আসছে। মন্দির এবং মেলার জায়গা যে কোন ভাবেই হোক সি এস রেকর্ডে মৃত জগদত্তের নামে রেকর্ড হয়। তিনি তার জ্ঞাতী ভাই শরন দত্ত, গোপাল দত্তের নিকট বিক্রয় করেন । উক্ত স্থানে জমির পরিমান ৬০ (ষাট) শতক ,বিক্রয়কৃত জমির পরিমান ৫৬(ছাপ্পান্ন) শতক। জগদত্ত মন্দিরের নামে ৪ (চার) শতক জমি নি:শর্ত দান করেন। জগদত্তের কথা মোতাবেক মৃত: গোপাল চন্দ্র দত্ত ০৬.০৯.১৯৮৮ সালে ৪০৩২/৮৮ নং দলিলে ৪ শতক জমি মন্দিরের নামে লিখে দেন । উল্লেখ্য গোপাল দত্তের তিন ছেলে নরোত্তম দও,ভজহরি দত্ত,গোলক দত্ত।মৃত: গোপাল দত্তের দুই ছেলে ভজহরি দত্ত,গোলক দত্তের এই সম্পত্তির উপর কোন দাবী নেই।সর্বশেষ আর এস জরিপে বেনাহাটি হাজরাতলা পুজা মন্দির নামে রেকর্ড হয় । যাহাতে জমির শ্রেনী মন্দির ,মৈাজা বেনাহাটি দাগ নং ৭৪৩।এলাকাবাসী দাবী করেন, মৃত: গোপাল চন্দ্র দত্ত মন্দিরের নামে কোন শর্ত ছাড়া দান করেন সেহেতু সম্পত্তি টি দেবত্তর । এলাকাবাসী বলছেন মৃত: গোপাল চন্দ্র দত্তের ঔরশজাত সন্তান থাকতে ভাইয়ের সুকান্ত দত্ত মন্দিরের সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে মামলা দায়ের করতে পারেন কি না? যেহেতু উক্ত সম্পত্তি টি গোপাল চন্দ্র দত্তের ক্রয়কৃত। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে,যে কোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।