মাসুদ নবী মুন্নার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জাতীয় পার্টির কর্মীদের মিছিল।
শিল্পী আক্তার, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
রংপুর সদর উপজেলার জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও সদর উপজেলার আহবায়ক, মাসুদ নবী মুন্নাকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা হামলা করে বসেন । মাসুদ নবী মুন্নার থেকে পাওয়া তথ্য মাসুদ নবী মুন্না বলেন দীর্ঘ কয়েকদিন আগে পাগলাপীর স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দুর্নীতির বিষয়ে প্রকাশ পায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তিনি নিজে থেকে সভাপতি পদত্যাগ করেন । সেই সময়ে মাননীয় সংসদ সদস্য রংপুর ৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের ডিউ লেটার এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টিকে রাখার লক্ষ্যে নতুন করে ইউপি সদস্যকে সভাপতি করেন । ইউপি সদস্যকে সভাপতি করে সাবেক সভাপতি মাননীয় সংসদ সদস্য রংপুর ৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নিকটে পুনরায় সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা জ্ঞাপন করেন । মাননীয় সংসদ সদস্য রংপুর ৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের সাবেক সভাপতি কে পুনরায় সভাপতি করার চিঠিটি বাতিল ঘোষণা করেন । এই বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ১২ই এপ্রিল রাত আনুমানিক দশটার পর একটি প্রোগ্রাম শেষ করে ফেরার পথে সন্ত্রাসী বাহিনীরা তাদের গাড়িবহরে ঝাঁপিয়ে পড়ে । এক কুচক্রী মহল জাতীয় পার্টি কে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা এর আগেও বারবার নির্বাচিত গরিবের বন্ধু রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রের উপরেও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ষড়যন্ত্র চলতেছে তাই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা এক হবো এক হয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবো । এই গাড়ি বহরে সফর করছিলেন জাতীয় পার্টির মনোনীত নাঙ্গল মার্কা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও রংপুর সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাসুদ নবী মুন্না এবং জাতীয় পার্টির মনোনীত নাঙ্গল মার্ক ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সদর উপজেলা পরিষদ রংপুর আলহাজ্ব মোঃ মাসুদুর রহমান মিলন সেখানে ছিলেন সিরিয়ার যুগ্ন আহবায় রংপুর সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি, মোঃ রুহুল আমিন লিটন । তাদের গাড়িতে আগে থেকে তৈরি হয়ে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনীরা হুট করেই হামলা করে বসেন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর জেলা ঊর্ধ্বতন ও কর্মকর্তা ও রংপুর সদর কোতোয়ালি থানায় অবগত করেন । এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ১৩ই এপ্রিল রংপুর সদর উপজেলা ৪ নং সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পালিচড়ার হাটে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা । তারা বলেন প্রশাসন যেন বিষয়টিকে আমলে নিয়ে অতি তাড়াতাড়ি সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করেন তা না হলে আমরা সদর উপজেলাকে অচল করে দিব সন্ত্রাসীদের কে গ্রেফতার করা না হলে সদর উপজেলায় কোন গাড়ি চলবে না সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার না করলে সদর উপজেলায় দোকানপাট খুলবে না তাই আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতেছি আপনারা অতি দ্রুত অতি তাড়াতাড়ি সন্ত্রাসীদের কে আইনে তো যুতে নিয়ে আসুন । তা না হলে আমরা আবারও জনপথে নামবো এবং জাতীয় পার্টির সমর্থনেতা কর্মীরা রংপুর ও রংপুর সদরসহ সব স্থানেই মানববন্ধন ও মিছিল কর্মসূচি চালু রাখবো ।