নিজস্ব প্রতিবেদক,
তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পান দুই যায়গা থেকে । তিনি সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও একি সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পান নামের গড়মিল দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর সোনালী ব্যাংক থেকে ও সিরাজগঞ্জ সদর অগ্রণী ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ও যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধার ভাতা তোলেন গাজী মোঃ ইউনুস উদ্দিন । এবং অন্য একটি ব্যাংকে নাম দেয়া আছে মিঃ মোঃ ইউনুস উদ্দিন । সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, এই মুক্তিযোদ্ধার জালিয়াতি । একই জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে দুই স্থান থেকে সরকারী ভাতা নিচ্ছেন তিনি । দুই জায়গা থেকেই কৌশলে ভাতার টাকা দিব্বি তোলেন আর তার কৌশলের কাছে হার মানিয়েছে । ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, মিঃ মোঃ ইউনুস উদ্দিন, সেখানেই দেওয়া আছে পিতা কছিমুদ্দিন সরকারের যায়গায় তার মায়ের নাম সুখিতন নেছা শুধু কি তাই মায়ের নামের পাশে লেখা আছে স্ত্রীর নাম মনোয়ারা । তার দেওয়া তথ্যে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার গেজেট নম্বর উল্লেখ রয়েছে (৮৯৭) জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা হিসেবে মোঃ ইউনুস উদ্দিন , পিতা, কছিমুদ্দিন, মাতা,সুখিতন নেছা, গ্রাম, গান্ধাইল, পোঃ গান্ধাইল,থানা, কাজিপুর, জেলা সিরাজগঞ্জ। ইউনুস উদ্দিন জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর,১৫০২৫৭৭৬৪২৭ এবং লাল মুক্তিবার্তা নম্বর , ৩১২০৬০১৮২, মুক্তিযোদ্ধার ভাতা জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহরাব হোসেন বলেন,আসলে একজন মুক্তিযুদ্ধা দুইটা যায়গা থেকে ভাতা পেতে পারেন না,এরকম অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । মুক্তিযোদ্ধার ভাতা জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এই প্রতিবেদক কে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস উদ্দিন বলেন দেখো বাবা সরকার আমাদের কে ভালোবেসে ভাতা দিচ্ছে, একই সঙ্গে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি প্রথমে তিনি অস্বীকার করলেও পরে বিষয়টি স্বীকার করেন ।