মোঃ মঞ্জুরুল আহসান মীমপ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
উন্নত তথ্য প্রযুক্তির দাপটে পঞ্চগড় বোদা উপজেলায় গুরুত্ব কমছে চির চিনা চিঠি বক্স তথা ডাকবাক্সের। দেশে এক সময় অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম ছিলো ডাকযোগ। দূরদূরান্তে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-প্রিয়জন হৃদয়ের ভাব প্রকাশ করতো চিঠি পত্রের মাধ্যমে। সমস্ত আবেগ, অনুভূতি আর মায়া বহন করতো সেই চিঠি পত্র। শুধু তাই নয় এক সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংবাদ লিখে সাংবাদিকরাও ডাকযোগে সংবাদ পাঠাতো পত্রিকা অফিসে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই স্মৃতিময় দিন গুলো অতীত। আর এখন আগের মতো পোষ্ট অফিসে লোক জনের আনা গোনা চোখে পড়ে না। আশির দশক পর্যন্ত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো চিঠি এবং জুরুরি বার্তার জন্য টেলিগ্রাম এবং টেলিফোন। জেলা শহর ব্যতিত গ্রামীণ জনপদে টেলিফোনের ব্যবহার অত্যন্ত বিরল ছিলো। উইকিপিডিয়া জানায়, ১৬৫৩ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১ম ডাক বক্স স্থাপন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ১৮২৯ সালে ডাক বক্স গুলো ফ্রান্সে সর্বত্র ব্যবহার ছিলো। পোল্যান্ডে প্রথমে সর্বজনীন ডাক বক্স ১৮৪২ সালে ওশারশতে স্থাপন করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের দিন বদলের ন্যায় পাল্টে গেছে সব কিছু। এখন ঘরে বসে খবরাখবর পৌছে যাচ্ছে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে। আলাপ চলছে অত্যাধুনিক মোবাইল, ক্ষুধে বার্তা আর ফেইসবুকের ইনবক্স (ম্যাসেনজার)। উপজেলায় ডাকঘর চোখে পড়লেও ইউনিয়ন গুলোতে ভিন্ন চিত্র। অযত্নে অবহেলায় পরে থাকছে ডাকবক্স। স্থানীরা জানান, বর্তমানে, ই-মেইল, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেইসবুক ব্যবহারের কারণে মানুষ আর আগের মতো চিঠি লিখে না। যা লিখে আর যা শুনে ডিজিটাল মাধ্যম গুলোতে। ফলে ঐতিহয্য টি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। ধীর গতির কারণে মানুষ ডাকযোগ থেকে মুখ ফিরিয়ে কুরিয়ারে প্রয়োজনীয় কাগজ প্রত্র পাঠাচ্ছে।